ভাগ্য বদলের আশায় অসংখ্য মানুষ পাড়ি দিতে চায় ইউরোপে। মাল্টা এমনই একটি দেশ যেটি ইউরোপে প্রবেশের অন্যতম রুট হিসেবে বেছে নেয় অভিবাসীরা।
ভূমধ্যসাগরের মাঝে সাতটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইউরোপের দেশ মাল্টা। আয়তন মাত্র ৩১৬ বর্গ কিলোমিটার। লিবিয়া থেকে সাগরপথে মানবপাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে দেশটি। এই রুট দিয়ে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেন। অনেকেই নৌবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে পুশব্যাক হন। জিম্মি দশার শিকারও হচ্ছেন অনেকে। এমনকি নৌকাডুবে সাগরে মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। আর তাই, অবৈধভাবে মাল্টা প্রবেশে নিরৎসাহিত করছেন এখানে বসবাসকারী বাংলাদেশিরা।
দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টায় বাংলাদেশিদের বসতির সংখ্যা বাড়ছে ধীরে ধীরে। এদের অধিকাংশই কাজ করছেন বিভিন্ন রেস্তোরাঁ কিংবা কারখানায়। অনেকে স্বল্প বিনিয়োগে গড়ে তুলেছেন ব্যবসা-বাণিজ্য।
বৈধভাবে মাল্টায় প্রবেশে ওয়ার্ক পারমিটই হলো সবচেয়ে সহজ অবলম্বন। সরাসরি ওয়ার্ক পারমিট পেতে কোনো খরচ করতে না হলেও দালালদের শক্ত সিন্ডিকেটে কারণে গুনতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হারও বেড়েছে অনেক। যার অন্যতম কারণ ইনস্যুরেন্স, বাসার চুক্তিপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে জালিয়াতি।
দালালচক্রের প্রলোভনে অবৈধ পথে পাড়ি জমানো আর বৈধভাবে আসার জন্য কাগজপত্র জালিয়াতির কারণে দিন দিন বাংলাদেশিদের মাল্টায় প্রবেশের সুযোগ কঠিন করছে দেশটির সরকার।
সমুদ্রপথে মাল্টায় অভিবাসীদের প্রবেশের অন্যতম প্রধান রুট লিবিয়া। এ রুট ব্যবহার করে অভিবাসীরা যেন মাল্টায় প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বেশ কঠোর অবস্থানে মাল্টা সরকার