বাংলাদেশের মাটিতে বাগান করে আপেল চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার উদ্যোক্তা বোরহান উদ্দিন। জেলায় প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিকভাবে আপেল বাগান করে সফলও হয়েছেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি লাগানো ফলের গাছ। আর সেই ফলবাগানে সকাল থেকেই ব্যস্ত সময় পার করছে বাগান মালিক বোরহান উদ্দিন। ছোট্ট একটি কাঁচি হাতে বাগানের প্রতিটি গাছে খুঁজে দেখছেন কোনো মরা ডালপালা আছে কিনা। আর তা চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি পরিষ্কার করছেন বোরহান উদ্দিন। এভাবেই পরম যত্নে এক একটি গাছের নিয়মিত পরিচর্যা করেন তিনি। কারণ এটি তার স্বপ্নের আপেল বাগান। তার আপেল বাগানে গাছগুলোতে এসেছে ফুল। আবার অনেক গাছেই ফুল থেকে বেড়ে উঠছে সবুজ রঙের আপেল।
বোরহান উদ্দিন তার এই আপেল বাগানের নাম দিয়েছেন এইচবি আপেল অর্চেড। এক একর জমির ওপর ১০ প্রজাতির প্রায় ৫০০ আপেলের চারা লাগানো হয়েছে এই বাগানে।
বাগান মালিক বোরহান উদ্দিন জানান, এক একর জায়গায় ২০১৮ সালে স্বপ্নের আপেল বাগান শুরু করেন তিনি। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ৫০টি আপেলের চারা দিয়ে শুরু করলে বর্তমানে বাগানে ৫০০ গাছ। ওই গাছে ফুল ও ফল আসছে। ভারত থেকে আনা এখন এইচ আর এম এন-৯৯, আন্না, ডর্চেট গোল্ডেন, টপিক সুইট, গ্রানেস স্মিথ, মাইকেল, আমেরিকান মরিসাসসহ প্রায় ১০ প্রজাতির আপেল গাছ রয়েছে তার বাগানে। ভারত থেকে আপেল চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে দেশের মাটিতে এই আপেল বাগান করেছেন বলে জানান বাগান মালিক বোরহান উদ্দিন।
দেশের মাটিতে আপেল এর বাগান দেখতে প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে উৎসাহী মানুষ আসছে এখানে। আবার অনেক উদ্যোক্তা বোরহান উদ্দিন কাছ থেকে চারা ও আপেল বাগানে করার জন্য পরামর্শ নিচ্ছে। সেইসঙ্গে বাগান পরিচর্যার কাজে কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর জানান, বোরহানের উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। তিনি প্রথমে ছোট করে শুরু করলেও এখন বড় করেছেন। কৃষি বিভাগ তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।