আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়া মরক্কো দেশে ফিরে পেয়েছে বীরের সংবর্ধনা। রাজধানী রাবাতে আশরাফ হাকিমীদের জমকালো আয়োজনে বরণ করে নেয়া হয়। দ্য অ্যাটলাস লায়নদের পরে রাজকীয় সংবর্ধনা দেন রাজা ৬ষ্ঠ মোহাম্মদ। ২০২৬ বিশ্বকাপে আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরবে মরক্কো। আশা দেশটির সমর্থকদের।
রাবাতের সকালের সূর্যটা অন্য সব দিনের চেয়ে একটু আলাদা। আফ্রিকান আরব্য রূপকথা লিখে দেশে ফিরেছেন সোনার ছেলেরা। মরুর বুকে প্রথম বিশ্বকাপ সোনার হরফে লেখা হয়ে থাকবে দ্য অ্যাটলাস লায়নদের জন্য। এ বিশ্বকাপে সৃষ্টিকর্তা দু’হাত ভরে দিয়েছেন তাদের। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়েছে হাকিম জিয়েশরা। গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে প্রতিপক্ষের সমনে হাজির হয় মরক্কো।
সিংহের গর্জনে কেপেছে বেলজিয়াম, স্পেন ও পর্তুগালের মতো ইউরোপের পাওয়ার হাউসরা। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে থামে তাদের স্বপ্নযাত্রা। ক্রোয়েশিয়ার কাছে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে হেরে চতুর্থ হয়েই মরক্কো শেষ করেছে কাতার বিশ্বকাপ। এ পথই মরক্কোর মানুষের কাছে বিশ্বজয়ের সমান। কারণ সালাহ, মানেদের মতো তারকা নিয়েও আফ্রিকার কোনো দেশ পারেনি এতটা পথ যেতে।
মরক্কোর মানুষের কাছে তাই ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের শিষ্যরা এক একজন বিজয়ী বীর। ফুটবলাররা গর্বিত করেছেন পুরো জাতিকে। তাই ছেলেদের বীরের বেশে বরণ করে নেয় মরক্কো।
সমর্থকদের একজন গণমাধ্যমকে বলেন, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। ওরা নিরাপদে দেশে ফিরেছে। আমরা ওদের নিয়ে গর্বিত। ওরা বিশ্বকাপে যা করেছে তা মরক্কোর মানুষ সারা জীবন মনে রাখবে।
আরেক সমর্থক বলেন, ওরা বিশ্বকাপ জয় করেনি তো কী হয়েছে! চতুর্থ হওয়াটাই আমাদের কাছে বিশ্বকাপ জয়। আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি আমাদের শক্তিমত্তা। আমরা থেমে যাব না। আগামী বিশ্বকাপে অন্য এক মরক্কোকে দেখবে ফুটবল দুনিয়া।
২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য নতুন রূপে নিজেদের প্রস্তুত করবে বলেও ফুটবলারদের নিয়ে আশার বীজ বুনছেন এই স্বপ্নবাজ সমর্থকরা।