রাত গভীর হলেই অনিরাপদ হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। গত দেড় মাসে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে ৩০ ডাকাত ও ছিনতাইকারী। তারপরও আতঙ্কে রয়েছেন মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক। ব্যস্ততম এই মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের প্রায় ২২ জেলার কয়েক হাজার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। দিনের বেলায় মহাসড়কে পরিবহনের চাপ ও জনসমাগম থাকলেও রাত গভীর হলে অনেকটা অনিরাপদ হয়ে ওঠে মহাসড়কটি। মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় নির্জন ও জনশূন্য স্থানগুলোতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্র। বিশেষ করে মহাসড়কের সয়দাবাদ মোড়, মুলিবাড়ি, ঝাঐল ওভার ব্রিজ, নলকাসহ সাতটি স্পটে জনবসতি না থাকায় দুর্ঘটনা ও যানজট হলে ঘটছে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা।
গত ১২ অক্টোবর মধ্যেরাতে মহাসড়কের সয়দাবাদ এলাকায় বগুড়া পুলিশের ভাড়া করা একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর পর নড়েচড়ে বসে জেলা পুলিশ। একাধিক অভিযানে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে।
এলাকাবাসী ও চালকদের দাবি, রাতে মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে পুলিশি টহল বাড়াতে হবে।
পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল জানান, মহাসড়কে সংঘবদ্ধ ৬টি গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে চলন্ত গাড়িতে পাথর বা ইট নিক্ষেপ করে গতিরোধ করে ডাকাতি সংঘটিত করে থাকে। তবে মহাসড়কের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশি টহল বাড়ানোর পাশাপাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা পুলিশের একাধিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সুপার।