পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে কট্টর ডানপন্থা এবং শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ বা বর্ণবাদ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের বাৎসরিক এক সংবাদ সম্মেলনে এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, জার্মানিতে কট্টর ডানপন্থি একটি গোষ্ঠীর সদস্যরা দেশটির পার্লামেন্ট দখলের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছিল। তবে সরকার প্রস্তুত থাকায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়া গেছে।
জার্মানির ঘটনাটির উদাহরণ টেনে গুতেরেস বলেন, ‘জার্মানির বিষয়টি গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রতি কট্টর ডানপন্থিদের চরম হুমকির একটি উদাহরণ মাত্র।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী হুমকি আসছে কট্টর ডানপন্থি, নব্য-নাৎসি এবং বর্ণবাদীদের কাছ থেকে। আমি মনে করি, আমাদের এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে যে আমরা নব্য-নাৎসিবাদ, বর্ণবাদ, আরব এবং মুসলিমবিরোধী যেকোনো মনোভাব শক্তভাবে প্রত্যাখ্যান করব। আমাদের এই স্পষ্ট হুমকির বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ আত্মপ্রত্যয় নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।’
টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ককে বাকস্বাধীনতার জন্য হুমকি বলে মনে করেন কি না–এমন প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর একটি বিশেষ দায়িত্ব হলো সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা করা এবং ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করা।’ তবে তিনি মাস্ককে নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
তবে একই প্রশ্নের জবাবে গুতেরেস বলেন, ‘কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মালিক যে-ই হোন না কেন, তাদের প্রতি আমার সুপারিশ হলো, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বিশেষ করে সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। সবাইকে সম্মান করা এবং ঘৃণাত্মক বক্তব্য, নব্য-নাৎসিবাদ, শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ, চরমপন্থার অন্যান্য রূপ যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো জায়গা না পায়, তা নিশ্চিত করা।’