চলতি বছর ইইউভুক্ত দেশগুলোতে অবৈধভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রবেশের হার গত বছরের তুলনায় বেড়েছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় সীমান্তরক্ষী সংস্থা ফ্রন্টেক্স। এ সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় ৬৮ শতাংশ বেশি। এ বছরের প্রথম ১১ মাসেই প্রায় তিন লাখ আট হাজার অভিবাসী অবৈধ পথে ইউরোপে গেছেন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী রয়েছেন ইতালিতে।
উন্নত জীবনের আশায় প্রায় প্রতিদিনই ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করেন হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইতালি, স্পেন, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেন তারা। সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে বহু অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়।
ইউরোপের সীমান্তরক্ষী সংস্থা ফ্রন্টেক্স সম্প্রতি নতুন তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটির মতে, চলতি বছর ইউরোপেীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে অবৈধভাবে প্রবেশের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। ২০২১ এর তুলনায় এ সংখ্যা ৬৮ শতাংশ বেশি বলে জানা গেছে। ২০১৬ সালের পর এ সংখ্যা সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে ফ্রন্টেক্স।
সংস্থাটি আরও জানায়, চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে প্রায় তিন লাখ আট হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী অবৈধ পথে ইইউর দেশগুলোতে প্রবেশ করেছে। এদের মধ্যে অর্ধেকই ইতালিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৯৮ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে ঢুকেছেন। গ্রিস এবং সাইপ্রাসে অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা মোট ৩৪ হাজার।
ফ্রন্টেক্সের তথ্যানুযায়ী, পশ্চিম বলকান রুটটি হলো ইউরোপে পৌঁছনোর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পথ। চলতি বছর এই পথ ধরে এক লাখ ৪০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইইউর দেশগুলোতে পৌঁছেছে, যা গত বছরের তুলনায় দেড় গুণ বেশি।
তবে এ বছর এই পথ ছাড়াও ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালি, স্পেন ও গ্রিসে পৌঁছেছে। আর এভাবে পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে বহু অভিবাসনপ্রত্যাশীকে। অভিবাসনের জন্য আসা ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘ ও ইইউর পক্ষ থেকে বলা হলেও, ইউরোপের অনেক দেশই অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছে।
সূত্র: সময় টিভি