কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে আগ্রহ ছিল পুরো বিশ্বের। এই আয়োজনে কোথায় কি হচ্ছে তা প্রতিনিয়ত গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পারছে মানুষ। এই বড় আয়োজনের পেছনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার কথা উঠে আসলেও কিছু বিষয় এখনো অন্তরালে থেকে গেছে।
কাতার বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে বড় বড় স্থাপনা তৈরিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের অবদান ও আত্মত্যাগের কথা সবাই আগেই জেনেছে। বিশ্বকাপ চলাকালীন জনসাধারণের চাপ কমাতে ও সৌন্দর্য রক্ষায় নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে দেশটি।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে নানা ধরনের স্থাপনা তৈরিতে যেমন প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিশাল অবদান ছিল, তেমনি খেলা চলাকালীন বিভিন্ন সেক্টরেও তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ কাতার পুরো বিশ্ববাসীকে অভ্যর্থনা জানাতে এশিয়ার তিনটি দেশের নাগরিকদের প্রধান্য দেয়। যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা বলছেন, ‘কাতারে থেকে বিশ্বকাপটা যেভাবে অনুভব করতে পেরেছি, তাতে খুব ভালো লাগছে। বাইরের দেশ থেকে আসা অতিথিদের যেভাবে সেবা দিয়েছি, তাতে বাংলাদেশি হিসেবে গর্ববোধ করছি।’
প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাতার বিশ্বকাপকে ঘিরে বেশ সফল। এদের মধ্যে রয়েছেন উবার চালক, সিকিউরিটি গার্ড, কম্পাউন্ড ব্যবসায়ী, রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেল ব্যাবসায়ীরা। বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে আগত অতিথিদের নানা সেবা দিয়েছেন তারা। খেলা চলাকালীন প্রবাসীদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো।
কাতার বিশ্বকাপ আয়োজনে বিভিন্ন হসপিটালিটি কার্যক্রমে অসংখ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকেও দেখা গেছে। অল্প সময়ের জন্য সেবা দিতে দেশটির সরকার তাদের কাজে লাগিয়েছে। প্রবাসীদের প্রত্যাশা বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলেও কাতারে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশি বিশাল জনগোষ্ঠীর কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে ঠিক আগের মতো।
সূত্র: সময় টিভি