ভারতের অরুণাচল রাজ্যের সীমান্তে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। এমনটাই জানানো হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে।
গণমাধ্যমটির দাবি, ম্যাক্সার স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্র থেকে দেখা গেছে, অরুণাচলের প্রতিবেশী তিব্বতের একটি বিমানঘাঁটিতে চীন বিপুল সংখ্যক ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মজুত করেছে।
অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরে গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) চীন ও ভারতের সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষেই সেনারা আহত হন। ওই ঘটনার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হলো।
ম্যাক্সার স্যাটেলাইটে ধারণ করা ছবি থেকে দেখা গেছে, চীনের সশস্ত্র বাহিনী তিব্বতের বাগডা বিমানঘাঁটিতে ডব্লিউজেড-৭ মডেলের ‘উড়ন্ত ড্রাগন’ নামে বেশ কয়েকটি ড্রোন মজুত করেছে। ২০২১ সালে চীন এ ড্রোনগুলো প্রথম ব্যবহার করতে শুরু করে। এগুলোর বিশেষত্ব হলো, টানা ১০ ঘণ্টা উড়তে পারে। ড্রোনগুলো নজরদারি এবং তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম। এমনকি এ ড্রোনগুলো প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে হামলার নির্দেশও দিতে পারে।
গত ২৭ নভেম্বর চীন তিব্বতের শিগাৎসে বিমানবন্দরেও অন্তত ১০টি ফ্ল্যাঙ্কার টাইপ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে। এখন আবার গত ১৪ ডিসেম্বরও ম্যাক্সার স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি থেকে দেখা যায়, চীন বাগডা বিমানবন্দরে ফ্ল্যাঙ্কার টাইপ যুদ্ধবিমানগুলোকে রানওয়ের পাশে সাজিয়ে রেখেছে, যেন যেকোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে সেগুলো উড্ডয়ন করতে পারে।
এদিকে, ভারত-চীনের সেনারা সংঘর্ষে জড়ালেও পরস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে দাবি করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গত মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বলেন, ‘আমরা যতদূর বুঝতে পারছি, চীন-ভারত সীমান্ত সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল।’ দু’পক্ষই কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে সীমান্ত নিয়ে অবাধ আলোচনা করেছে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: সময় টিভি