দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার চতুর্থ ডোজ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সারা দেশে একযোগে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিন সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আহমেদুল কবির।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, এই চতুর্থ ডোজ প্রদান কার্যক্রমে দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ শর্ত থাকছে না। অর্থাৎ ২০ ডিসেম্বর নিয়মিতভাবেই চলবে টিকা কার্যক্রম।
প্রথম ধাপে পাঁচ শ্রেণির মানুষ পাবে দ্বিতীয় বুস্টার বা চতুর্থ ডোজের টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডোজ প্রাপ্তির পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ দেওয়া যাবে। টিকা প্রদানে ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্বর বয়সী জনগোষ্ঠী অগ্রাধিকার পাবে।
এছাড়া দীর্ঘমেয়াদী রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী। স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী, গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মা এবং সম্মুখসারির যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সম্মুখসারির যোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, অনুমোদিত বেসরকারি ও প্রাইভেট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সব সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা, সম্মুখ সারির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনী, বেসামরিক বিমান, রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্ত অপরিহার্য কার্যালয়, সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এছাড়া ধর্মীয় প্রতিনিধি (সব ধর্মের), মৃতদেহ সৎকার কার্যে নিয়োজিত ব্যক্তি, জরুরি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশন ও ফায়ার সার্ভিস এর সম্মুখ সারির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেল স্টেশন, বিমান বন্দর, স্থল বন্দরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা ও উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় দলের খেলোয়াড়, চিকিৎসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী।
সূত্র: সময় টিভি