লুসাইলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ রাজধানী ঢাকাতেও। নগরীর প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি থেকে শুরু করে আলবিসেলেস্তে সমর্থকদের বিজয়োল্লাস দেখা গেছে গোটা শহরজুড়ে। কেউ আবেগে আপ্লুত হয়েছেন, কেউবা আনন্দে অশ্রুসিক্ত। বাঙালির এমন উদ্যাপনের সংবাদ সংগ্রহে খোদ আর্জেন্টাইন সাংবাদিকের দেখা মিলেছে ঢাকাতে।
উদ্যাপন, উন্মাদনা, অশ্রুসিক্ত নয়ন। আর্জেন্টাইন সমর্থকদের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। লুসাইলের সে বিজয় ছাপ ফেলেছে গোটা ঢাকাতে। এই রাতের যত আনন্দ, সবকিছুই আকাশি-নীল সমর্থকদের জন্য।
দেশের নানান জায়গা থেকে এদিন ঢাকায় আসেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। কেবল দেশ নয়, দেশের বাইরে থেকে খোদ আর্জেন্টাইন সাংবাদিক পা রেখেছেন ফুটবলপ্রেমী শহরে।
এক আর্জেন্টাইন সাংবাদিক বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক আর্জেন্টিনার সমর্থক আছেন। তাদের উন্মাদনা আমাদের দেশের মানুষকে জানানোর জন্য এখানে এসেছি। আর্জেন্টিনার প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আবেগ সত্যিই মুগ্ধ করবে আর্জেন্টাইনদের।’
ঢাকার বাইরে থেকে খেলা দেখতে আসা দর্শকরা বলেন, ‘অনেক দূর থেকে খেলা দেখার জন্য এসেছি। অনেকের সঙ্গে মিলে জয়ের উল্লাস করতে পেরে ভালো লেগেছে।
৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান বিশ্বাস হচ্ছিল না অনেকের। টাইব্রেকারে জয় নিশ্চিত হওয়ার পরেও অনেকে ছিলেন ভাবলেশহীন। কেউ হয়েছেন অশ্রুসিক্ত। তবে মেসির হাতে বহুল আরাধ্যের শিরোপা দেখে মন ভরেছে সবার।
এমন উদ্যাপন থামার নয়, এমন একটি রাত ভোলার মতো নয়। এই রাতের যত আনন্দ, যত উদ্যাপন তার সবকিছুই আকাশি-নীল শিবিরের জন্য। ৩৬ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, লিওনেল মেসি গল্পের শেষটা রাঙাল সোনালি রঙের বিশ্বকাপ।