শিরোপাটা জেতা হয়নি। তবে কী হয়েছে, রেকর্ড বইয়ে যে নামটা লেখা হয়ে গেলো এমবাপ্পের। ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন ফরাসি এই স্ট্রাইকার।
কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাতটা ছিল রোমাঞ্চকর। পুরো ম্যাচে ধুঁকতে থাকা ফ্রান্সকে আচমকাই ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন এমবাপ্পে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে প্রথমে করেন জোড়া গোল। এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে করেন একটি। এতে বিশ্বকাপের ফাইনালে গড়েন এক রেকর্ড।
ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ফাইনালে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ১৯৬৬ সালে যখন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতেছিল, সেই বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন জিওফ হার্স্ট। এর আগে ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে কেউ এমন কীর্তি গড়েননি। ৫৬ বছর পর সে রেকর্ড বইয়ে জিওফের নামের পাশে নিজের নামটা লেখলেন এমবাপ্পে।
ম্যাচের ৭৯ মিনিট পর্যন্ত কেউ চিন্তাও হয়তো করতে পারেনি এই ম্যাচটি পেনাল্টি শুট আউটে যাবে। কিন্তু যে দলে এমবাপ্পের মতো খেলোয়াড় থাকে, তারা আশার স্বপ্ন দেখতেই পারে। আর তেমনটাই করে দেখিয়েছেন কিলিয়ান। মাত্র ৯৭ সেকেন্ডের মধ্যে দুই গোল করে দলকে সমতায় ফিরিয়েছেন। এরপর ম্যাচের ১১৮ মিনিটে আবার গোল করে দলকে নিয়ে গিয়েছেন পেনাল্টি শুট আউটে।
আর তাতেই রেকর্ড গড়া হয়ে যায় এমবাপ্পের। ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে করে ফেলেন বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক। যদিও রেকর্ড গড়লেও ট্রফিটা জেতা হয়নি এমবাপ্পের। তবে এমবাপ্পে ও হার্স্টের এমন রেকর্ডে ভাগ বসানোটা পরবর্তীতে যে কারো জন্য বেশ কঠিনই হবে। এদিকে শিরোপা জিততে না পারলেও ৮ গোল দিয়ে এমবাপ্পে জিতে নিয়েছেন গোল্ডেন বুট ট্রফি।