টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ ছেড়ে দেয়া উচিত কি না, তা জানতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনলাইনে ভোট দিতে বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইলন মাস্ক।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইলন মাস্ক টুইটারে একটি জরিপ চালু করেছেন। সেখানে তিনি তার ১২২ মিলিয়ন অনুসারীদের কাছ জানতে চেয়েছেন, ‘আমি কি প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়াব…ফলাফল যাই হোক না আমি মেনে নেব।’
টুইটার কেনার পর থেকে এর পরিচালনায় বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক।
সম্প্রতি কোনো রকম ব্যাখ্যা দেয়া ছাড়াই বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিকের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছিল ইলন মাস্কের টুইটার। তার এমন কাজে সমালোচনার ঝড় শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। তবে স্থগিত করার মাত্র এক দিনের মাথায় অ্যাকাউন্টগুলো আবারও ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, ইলন মাস্ক নিজেই ওই সাংবাদিকদের অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। এক টুইটে তিনি লিখেন, ‘মানুষকে কথা বলতে দিতে হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে আমার রিয়েল টাইম লোকেশন শেয়ার করা হতো সেসব অ্যাকাউন্টের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।’
এর আগে, সিএনএন-এর ডনি ও’সুলিভান, নিউইয়র্ক টাইমসের রায়ান ম্যাক, ওয়াশিংটন পোস্টের ড্রিউ হারওয়েল এবং আরও অনেকে। এ ছাড়া প্রগতিশীল ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক অ্যারন রুপারের অ্যাকাউন্টও বাতিল করা হয়।
এই বিষয়ে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, যাদের অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হয়েছে, তারা টুইটারের নতুন ডক্সিং নীতি ভঙ্গ করেছেন এবং তাকে খুঁজে পেয়ে হত্যা করা সম্ভব হতে পারে এমন তথ্য ওই সাংবাদিকরা শেয়ার করেছেন। তবে অনেকেই দাবি করেছেন ওই সাংবাদিকরা এ-জাতীয় কোনো তথ্য শেয়ার করেননি।