যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ থেকে চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। দেশটির পরিবহন সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থা জানায়, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিমানবন্দর থেকে ৬ হাজারের বেশি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিনই বন্দুক হামলায় প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়। এসব হামলার পেছনে অস্ত্রের সহজলভ্যতাকে দায়ী করেন অনেকে। এবার ভয়াবহ এক তথ্য জানিয়েছে দেশটির পরিবহন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থা ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (টিএসএ)। সংস্থাটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ থেকে চলতি বছর রেকর্ড পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিমানবন্দর থেকে ৬ হাজার ৩০১টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এসব অস্ত্রের ৮৮ শতাংশই ছিল গুলিভর্তি।
২০২১ সালে দেশটির বিভিন্ন বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ থেকে জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে পাঁচ হাজার ৯৭২টি ছোট-বড় বন্দুক পাওয়া যায়। এদিকে, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ জব্দ অস্ত্রের সংখ্যা ৬ হাজার ৬০০-তে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা টিসিএ কর্মকর্তাদের। এমনটা হলে, গত বছরের তুলনায় জব্দ করা অস্ত্রের পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ শতাংশ বেশি।
টিসিএ আরও জানায়, চলতি বছর সবচেয়ে বেশি অস্ত্র জব্দ হয়েছে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টার হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন বিমানবন্দর থেকে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাসের ফোর্ট ওর্থ বিমানবন্দর।
তবে, ঠিক কী কারণে বিমানযাত্রীদের মধ্যে লাগেজে অস্ত্র বহনের প্রবণতা বাড়ছে, তার কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি ওই কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের আইনে নাগরিকদের আগ্নেয়াস্ত্র কেনা ও বহনের আইনি স্বীকৃতি আছে। এমনকি বিমানে ভ্রমণের সময়ও তারা অস্ত্র সঙ্গে রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই সেই অস্ত্র খালি থাকতে হবে।
বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ পরীক্ষার সময় যদি লোডেড অস্ত্র পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে ওই যাত্রীকে ১৩ হাজার ৯১০ ডলার থেকে থেকে ১৪ হাজার ৯৫০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। কিন্তু, এসব আইন অনেকেই মেনে চলেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।