Homeবিশ্বযুক্তরাজ্যবিবিসির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন কেন লোচ

বিবিসির ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন কেন লোচ

যুক্তরাজ্যের লেবার দলের সাবেক নেতা জেরেমি করবিনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধ্বংসে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন দেশটির প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক কেন লোচ।

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন লোচ বলেন, জেরেমি করবিনের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ধ্বংসে বিবিসির ভূমিকা ছিল ‘একেবারে নির্লজ্জ’।

ইক্যুয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাবেক লেবার নেতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসে বিবিসি ‘প্রধান ভূমিকা পালন করেছে’।

২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে দল হারার পর জেরেমি করবিনকে ২০২০ এপ্রিলের দিকে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। 

লোচ বলেন, ‘তারা ইতিহাস পুনর্লিখন করেছে যাতে তার অস্ত্বিত্ব না থাকে। এটা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের লিয়ন ট্রটস্কির মতো যাকে রাজনৈতিক খেলায় জোসেফ স্ট্যালিন ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত জীবন যাপনে বাধ্য করেছিলেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাসে লিয়ন ট্রটস্কির কোনো অস্তিত্ব নেই। জেরেমি করবিনও এখন ইতিহাসে নেই।

লোচ লেবার পার্টির বর্তমান নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নিয়মের হেরফের এবং সরাসরি আগ্রাসন হয়েছে। এটা অবিশ্বাস্য যে: বামদের বিরুদ্ধে নিয়মের কারসাজি, প্রার্থীদের চাপিয়ে দেয়া, বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা যতদূর জানি অন্তত দুই লাখ লোক এবং সম্ভবত আরও বেশি কেয়ার স্টারমারের নেতৃত্বে থাকা লেবার পার্টি ছেড়েছে। যদি কখনও সম্প্রচারকারীদের রাজনৈতিক কারসাজির স্পষ্ট উদাহরণের প্রয়োজন হয় তবে তা আমাদের কাছে আছে।

লোচ বলেন, করবিনের কভারেজে বিবিসির পাশাপাশি গার্ডিয়ানও ‘যৌথভাবে অপরাধী’।

২০২০ সালের অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের বিরোধীদল লেবার পার্টির সাবেক নেতা জেরেমি করবিনকে তার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

দলের নেতেৃত্ব দেয়ার সময়ে ইহুদিবিদ্বেষ মোকাবিলায় এই বামপন্থী রাজনীতিবিদের ভূমিকা নিয়ে একটি প্রতিবেদনের পর তার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

২০১৯ সালের মে মাসে শুরু করা এক তদন্তে ইএইচআরসি জানিয়েছিল, বামপন্থী করবিনের নেতৃত্বাধীন দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে দলটিতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবেই ইহুদিবিদ্বেষ রয়েছে।

তখন দলটির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইহুদিবিদ্বেষ বন্ধে লেবার পার্টির নেতৃত্বের মারাত্মক ব্যর্থতা আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। এমনকি ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ মোকাবিলায় অপর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল।

জেরেমি করবিন দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছিলেন। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও লেবাননের মিলিশিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে তার অতীতে বৈঠক হয়েছিল। যে কারণে তার ভেতরে ইহুদিদের বিরদ্ধে পক্ষপাত রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।

করবিন তখন দাবি কলেছিলেন, দলের ভেতরে ও বাইরে থেকে বিরোধীরা রাজনৈতিক কারণে সমস্যাটির মাত্রা নাটকীয়ভাবে বাড়িয়ে বলছে। অধিকাংশ গণমাধ্যমও ঠিক একই কাজ করেছে।

 

সর্বশেষ খবর