রাত হলেই স্বামীর ‘বদভ্যাস’’। সেই ‘বদভ্যাসে’ জর্জরিত হয়ে শেষ পর্যন্ত ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী। এমনকি ওই নারীকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতিও দিয়েছেন আদালত। তবে কী সেই বদভ্যাস? শুনলে চমকে যাবেন অনেকেই। কারণ এই ‘বদভ্যাস’ হলো মাছ ধরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম সিএনএন-নিউজ১৮ এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি চীনের এক নারী তার স্বামীর কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেন। ওই নারীর দাবি, প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয় তার। দুই সন্তানের টিফিন বানানো, তারপরে তাদের স্কুলে পাঠানো দিয়ে কাজ শুরু হয়।
এরপর বাড়ির সব কাজ সারতে হয়। সারাদিন প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় তাকে। ওই নারীর দাবি, তার স্বামী তাকে কোনো সাহায্য করেন না। তার হাতে যখন অনেক কাজ থাকে, তখনও তার স্বামী সোফায় শুয়ে থাকেন। রাতের বেলাতেও স্বামী বাড়িতে থাকেন না। মাছ ধরার নেশা আছে তার। সেখানেই সারারাত কাটান। আর দিনের বেলায় বাড়িতে শুয়ে থাকেন। কাজে যেতেও অনীহা আছে তার স্বামীর।
আদালতের সামনে এসব অভিযোগ করার পর বিচারক ওই নারীকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দেন। পাশাপাশি তার স্বামীকে তীব্র ভাষায় ‘তিরস্কার’ করেন। বিচারক বলেন, ‘মাছ ধরার নেশা খুব খারাপ কিছু না। কিন্তু তার মানে এই নয় যে নিজের পরিবারকে সময় না দিয়ে সারারাত মাছ ধরবেন আপনি।’ জানা গেছে, ওই নারীর ১০ বছর হয়েছে বিয়ের। দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে কোনোভাবেই বনিবনা না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলা করেছেন তিনি।
